Sunday, May 3, 2009

ভালো লাগছে, রহস্যপ্রবণ লাগছে

আবুল হাসান

ভালো লাগছে। এতকাল পরে আজো মানুষকে ভালো লাগছে।
রহস্যপ্রবণ লাগছে।
বড় তরতাজা লাগছে। যেমন যুবতী, যেমন জরায়ু, যেমন শিশির

ভালো লাগছে। ফুল ও পূর্ণিমা, পুরাতন ভালোবাসা ভালো লাগছে।
মানুষ এখন স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রে ফিরছে। মানুষকে ভালো লাগছে।
মানুষকে মারা আজ কোনো কঠিন ব্যাপার নয়; সব সহজ।

জর্জর সঙ্গম, ফুল, জন্মে জেগে ওঠা মৃত্যু, অন্ধকার। সব সহজ।
কোনোকিছু, আজ আর কোনোকিছু কঠিন ব্যাপার নয়।
ভালো লাগছে। বেরিয়ে আসছে বিষ, ক্ষয়, মৃত্যু ও জরা।
ফুলের মালায় বেরিয়ে আসছে অবেলায় অজগর, ভালো লাগছে।
রহস্যপ্রবণ লাগছে।

সুন্দর ব্যর্থতা ঝরছে দোরগোড়ায়। ভালো লাগছে। মানুষ লিখতে পারছে
কুকুর হইতে সাবধান, বাগানের ফুল ছিঁড়িও না আর নীরবতা আবশ্যক
ভালো লাগছে। এতকাল পরে আজো মানুষকে ভালো লাগছে।
রহস্যপ্রবণ লাগছে।

ফুল ছিঁড়ে ফেলতে ফেলতে ফের বলছে ফুল ছিঁড়িও না।
কুকুরের মধ্যে ফের কুকুর বসিয়ে ফের বলে উঠছে কুকুর হইতে সাবধান!

ভালো লাগছে। মানুষকে ভালো লাগছে। ভালো লাগছে। সারাদিন
ভালো লাগছে। সারাদিন রহস্যপ্রবণ লাগছে, ভালো লাগছে,
ভালো লাগছে না।

No comments:

Post a Comment