পূর্ণেন্দু পত্রী
বৃক্ষের ভাগ্যকে ঈর্ষা করি।
নিজের বেদনা থেকে নিজেই ফোটায় পুষ্পদল।
নিজের কস্তুরী গন্ধে নিজেই বিহবল।
বিদীর্ণ বল্কলে বাজে বসন্তের বাঁশী বারংবার
আত্নজ কুসুমগুলি সহস্র চুম্বনচিহ্নে অলঙ্কৃত করে ওষ্ঠতল।
আমি একা ফুটিতে পারি না
আমি একা ফোটাতে পারি না
রক্তের বিষাদ থেকে আরক্তিম একটি কুসুমও।
আমাকে বৃক্ষের ভাগ্য তুমি দিতে পারো ।
বহু জন্ম বসন্তের অম্লান মন্জরী ফুটে আছো
নয়নের পথে দীর্ঘ ছায়াময় বনবিথীতল
ওষ্ঠের পল্লব জুড়ে পুষ্প বিচ্ছুরণ।
আমাকে বৃক্ষের ভাগ্য তুমি দিতে পারো।
তুমি পারো করতলে তুলে নিতে আমার বিষাদ
ভিক্ষাপাত্র ভরে দিতে পারো তুমি অমর-সম্ভারে।
সর্বাঙ্গ সাজিয়ে আছো চন্দ্রালোকে, চন্দনের ক্ষেত।
আমার উদগত অশ্রু অভ্যর্থনা করে নিতে
পারো না কি তোমার উদ্যানে ?
মোহিনীরা স্বভাবে নির্মম।
আর যারা ভালবাসে
তারা শুধু নিজেদের আত্নার ক্রন্দনে ক্লিষ্ট হয়।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment